চুরি যাওয়া ১৯ টি বাইক উদ্ধার করলো পুলিশ : ফিরিয়ে দেওয়া হবে মালিকদের কাছে

15th September 2020 7:46 pm বাঁকুড়া
চুরি যাওয়া ১৯ টি বাইক উদ্ধার করলো পুলিশ : ফিরিয়ে দেওয়া হবে মালিকদের কাছে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : মাত্র কিছুদিন আগেই মেজিয়া থেকে কোতুলপুর থানায় বদলি হয়ে আসেন ওসি মানষ চট্টোপাধ্যায় I এর পরেই তিনি অতি তৎপরতার সাথে কোতুলপুর এলাকার চোরাই বাইক চক্রের পর্দা ফাঁস করলেন I চুরি হওয়া ১৯ টি বাইক উদ্ধার করে বড়সড় সাফল্য পেল বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। একই সঙ্গে এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে কোতুলপুর থানার পুলিশ। মঙ্গলবার কোতুলপুর থানায় এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এই খবর জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) গণেশ বিশ্বাস। এদিন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) গণেশ বিশ্বাস সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়ে বলেন, কোতুলপুর নাকা পয়েন্ট রামডিহাতে চেকিং এর সময় নম্বর প্লেট বিহীন একটি বাইক চালক সানোয়ার মোল্লা নামে এক জনকে আটক করে । বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারা ও কথার মধ্যে নানান অসংগতি থাকায় পুলিশ সানোয়ার মোল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে । পরে তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তির কোতুলপুর থানার ওসি মানস চ্যাটার্জীর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে আরো দু'জনকে গ্রেফতার ও ১৮ টি চোরাই বাইক উদ্ধার করে । উদ্ধার বাইক গুলির মধ্যে পাঁচটি পশ্চিম মেদিনীপুরের, তিনটি পশ্চিম বর্ধমানের, দু'টি বাঁকুড়ার, একটি করে আলিপুর ও অন্ধ্রপ্রদেশের । বাকি সাতটি বাইকের আসল মালিকের এখনো খোঁজ মেলেনি । তবে পুলিশি তরফ থেকে সন্ধান চলছে বাইক গুলি কোথা থেকে এলো । উদ্ধার হওয়া বাইক গুলি খুব শীঘ্রই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।